হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনী
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের প্রিয় নেতা কেননা তিনি আইয়ামে জাহেলিয়ার সে অন্ধকার যুগে এসেও আরবের বুকে সত্যর আলোকবর্তিকা জ্বালিয়ে সকল অন্ধকার দূর করেছেন যখন মানব সমাজ থেকে চরম অধঃপতনে পৌঁছেছিল তখন তিনি মুক্তির দূত ধারায় আগমন করেছিলেন মানব কল্যাণে তার অবদান অতুলনীয়
জন্ম ও বংশ পরিচয়
৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ২৯ শে আগস্ট সোমবার সুবহে সাদিকের সময় পবিত্র মক্কা নগরী যেতে কুরাইশ বংশের জন্মগ্রহণ করেন আরবের সম্ভ্রান্ত পরিবারে কুরাইশ বংশের হাশেমী গোত্রে তার জন্ম।
নেতা হিসেবে প্রিয় নবী সাঃ কেমন ছিলেন ?
মানব সভ্যতার ইতিহাসে মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বিশ্বের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নেতা ও আদর্শ সমাজ সর্ব জনীনকৃত একটি পরিণত করার বিরল কৃতিত্ব কেবল তারই। জালিয়াতের তিনি সামাজিকের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক নানা মুখের সংস্কারের মাধ্যমে একটি আদর্শ সমাজ বর্ণিত করতে সম্ভব হন। একটি আদর্শ সমাজ নির্মাণের মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম যে সংস্কার মূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনাকরেন তা নিচে আলোচনা করা হলো।
আলামিন উপাধি লাভঃ
একজন আদর্শ নেতা নেতার প্রথম গুণ সততা আর ছোট কাল থেকে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরগুণের অধিকারী ছিলেন ।সততা মহত্ত্ব, নাই পরায়ণতা বলে তাকে আলামিন বলে ডাকত।
হিলফুল ফুজুল সংগঠন
১৭ বছর বয়সে থেকেই তিনি সমাজের বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন এ সময় তিনি হিলফুল ফুজুল সংগঠন করে বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজ করেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম হিলফুল ফুজুলের প্রধান নেতা ছিলেন সেখান থেকে তিনি মানুষকে অনেক সঠিক নির্দেশনা দিতেন।
হারবুল ফুজ্জারে অংশ গ্রহণ
কিসার মোহাম্মদ সালাহ সালাম ১৫ বছর বয়সে নিজের জাতিকে শত্রু করতে আক্রান্ত হতে দেখে গ্রহণ করেন । তবে তিনি কাউকে অন্যায় ভাবে আঘাত করেননি।
নবুওয়াত লাভ
610খ্রিস্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিব্রাইল আলাই সাল্লাম এর মাধ্যমে অহিপ্রাপ্ত হন ।আল্লাহর বিধান উচ্চাকাঙ্ক্ষিত করার মহান দায়িত্ব অর্পিত হয় তার কাঁধে।
ইসলাম প্রচার ও কুরাইশদের নির্যাতন
নবুওয়াত লাভের পর হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম সর্বপ্রথম গোপনে ইসলাম ইসলাম এর সুসিতাল ছায়াতলে অংশ গ্রহণ করেন । ইসলামেরদাওয়াত দিলে তার নিকট আত্মীয় কয়েকজন ইসলামের ছায়াতলে অংশগ্রহ ণ করেন এরপর তিনি প্রকাশ্যে দাওয়াত দেন যার কারণে তার উপর নেমে আসে অত্যাচারের ত্রিব আঘাত।
মদিনায় হিজরত
কুরাইশদের অত্যাচারের মাত্রা যখন অসহনীয় হয়ে উঠে তখন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নির্দেশে স্বদেশ ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করেন।ফলে ইসলাম প্রচারে যোগ হয় নতুন সুত্র শুরু হয় মহানবী সাঃ এরমদিনা জীবন।
রাজনীতিবিদ
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ছিলেন সর্বকালের সেরা রাজনীতি। বিশৃঙ্খলা আরব সমাজে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক সংস্কার সাধন ন করেন। মদিনা মদিনায় রাষ্ট্র গঠন আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা লাভকরেন মদিনায় রাষ্ট্র গঠন আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা মদিনা সনদ হুদাইবিয়ার সন্ধি প্রভৃতি তার রাজনৈতিক বিশ্বমানবতার পরিচায়ক
সমাজ সংস্কারক
সমাজনীতিতে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাম এক বৈপলাবিকপরিবর্তন সাধন করেন। নারীর ,মর্যাদা দাস প্রথা, জুয়া ইত্যাদি অপকর্মের অনুচ্ছেদ করে শক্তিশালী নৈতিক আদর্শিক এর কারণে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা পান
সুস্থ অর্থনীতি প্রবর্তন
রাসূল সাল্লাল্লাহু সালামের পদ ক বর্তি কালে আরবে সুস্থ কোন অর্থ ব্যবস্থা ছিল না ছিল তাদের পেশা রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কৃষি ব্যবস্থা সাধন করে। গনিমতের মাল যাকাত জিজিয়া সখরাজ ধার্য করে সুষ্ঠু রাজস্ব ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন।
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন human right কথা মানবাধিকারের শ্রেষ্ঠ প্রবক্তা। যখন মানব সভ্যতার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল নিরীহ মানুষগুলো মহান আল্লাহর কাছে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেছিলেন শিখতে সেই সময় তিনি কুরআন সুন্নাহ তথা মানবাধিকারের শ্রেষ্ঠ বাণী নিয়ে উপস্থাপিত হন
নারীর মুক্তিদাতা
তৎকালীন আরব সমাজে মেয়ে সন্তান জন্ম নিলে তাকে জীবন্ত কবর দেওয়া হতো । তাকে ঘোরার পিঠে বেঁধে ঘোরা ছাড়িয়ে তাদেরকে হত্যা করা হতো।পুরুষরা যতো বেশি খুশি স্ত্রী গ্রহণ করত। যখন খুশি তালাক দিত। এমন অবস্থায় রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম সুমহান বাণী নিয়ে সে সমাজে উপস্থিত হন মানুষের ভুল ধারণা দূর করে রাসূল সাল্লাল্লাহু সালাম ইসলামের বাণী প্রচার করেন এতে মেয়েদের সম্মান রাসুল সাঃ আরো বাড়িয়ে দেন।
অর্থনৈতিক সংস্করণ
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে আবির্ভাবকালে আরব উপদ্বীপে সুষ্ঠু কোন অর্থনীতি ছিল না। সমাজের কম সংখ্যক লোক ই ছিল বৃত্ত শালী।মদ জুয়া রাজ ছিল অর্থ উপার্জনের প্রধান পেশা তাই মহানবী সাঃ সুস্থ অর্থ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য সংস্কার সাধন করেন। তার প্রবর্তিত রাজ্য রাজস্ব ব্যবস্থাই আয়ের উৎস ছিল মালের গনিমাত ফাই যাকাত জিজিয়ে ও খারাজ জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সব রকমের বিভিন্ন লোকদের বায়তুল মাল থেকে স্থায়ী সাহায্য করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মিত্ত বাইত শস্য ফলাও নীতি ছিল মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর অর্থনৈতিক সংস্কারের অন্যতম দিক।
দাস প্রথার উচ্ছেদ
মহানবী সাঃ আরব সমাজে যুগ যুগ ধরে চলে আসা দাস প্রথা উচ্ছে দ সাধনে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে মানবতার মর্যাদাকে সমুন্নত করেন তিনি ঘোষণা প্রদান করেন দাসকে মুক্তিদানের চেয়ে সর্বোত্তম কাজ আল্লাহর কাছে আর কিছুই নেই।
সামাজিক বৈষম্য র অবদান
রাসুল সাল্লাম আরব সমাজে বিদ্যমান ধ্বনি গরিব উঁচু নিচু সাদা কালো ব্যবধান ও বৈষম্যর অবসান ঘটান। তিনি হাবসি গোলাম আর কুরাইশদের মধ্য কোন ভেদাভেদ নেই বলে ঘোষণা করেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের মাঝে সব রকম পার্থক্য দূর করে প্রত্যেকে ভাই ভাই বলে সমর্থন করেন। যাতে করে প্রতিটি মানুষ সমাজের বুকে সহজ সরল ভাবে চলাফেরা করতে পারে তাই তিনি সব রকম ভেদাভেদ দূর করে ন।
জীবন সম্পত্তি ওবিধর্মীদের নিরাপত্তার বিধান
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণ মানুষের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তার বিধান করেন তিনি দুনিয়ার সকল ধর্ম সারিদের সব মর্যাদা প্রদান করেন।
শ্রেষ্ঠ আদর্শবান
রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আদর্শবান মানুষ। আল্লাহর রাব্বুল আলামিন ঘোষণা করেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনই সর্বোত্তম আদর্শ। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত রাসূলের আদর্শ মতে চলা।
শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক
মানবতার শ্রেষ্ঠ আদর্শ পরকালের একমাত্র সুপারিশকারী ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র নায়ক তার মত দক্ষ সুযোগ্য বিদ্যমান ও সফল রাষ্ট্রনায়ক তার আগেও ছিল না ভবিষ্যতেও থাকবে না
সামরিক সংস্কার
সামরিক ক্ষেত্রেও মহানবী সাঃ এর সংস্কার লক্ষণীয় একজন দক্ষ ও রনকস্ত হিসেবে তিনি খেতে খ্যাতি অর্জন করেন যুদ্ধ ও সংগ্রাম নেতৃত্ব দান করেই তিনি দিনকে বিজয়ী শক্তির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন। খোদা দ্রোহী ও বহিঃ শত্রুর আক্রমণ থেকে ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতি ভূমিকা রক্ষার জন্য নিয়মিত সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন।
শ্রেষ্ঠ আদর্শবান পুরুষ
রাসূল সাল্লালাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন দুনিয়ার সবচেয়ে আদর্শবান পুরুষ আল্লাহ তার ব্যাপারে ঘোষণা করেন রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর জীবনই রয়েছে তোমাদের জন্য সর্বপ্রথম আদর্শ
মদিনায় প্রত্যাবর্তন বর্তনী
হযরত মুহাম্মদ সঃ এর প্রতি এতটাই অত্যাচার হয়েছিল যে আল্লাহর আদেশে তিনি মক্কা থেকে মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেন তখন থেকে তিনি সেখানে জীবন যাপন করেন ।সেখানে তার ৬ শত বত্রিশ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন সেখানে ই তাকে দাফন করা হয়।
উপসংহারঃ
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমাজ সংস্কারক রাজনীতিবিদ অর্থনীতিবিদ মানবাধিকারের প্রবক্তা বিশ্বে আর দ্বিতীয় কেউ নেই। এজন্য বিশ্বে বর্ণ ব্যক্তিগণ ও একথা স্বীকার করেছেন রাসুল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ মানুষ বর্তমানে ও তার এ নীতি অনুসরণে মাধ্যমে কেবল কেবল পৃথিবীতে যেকোনো সমাজকে আদর্শ সামাদ পরিণত করা সম্ভব।
টুডে ডিজি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url